৬০০ মিলিয়ন ডলার টাকার জন্য জাতিসংঘে আটকে আছে বাংলা ভাষা তালিকাভুক্তি
টাকার জন্য আটকে আছে বাংলাকে জাতিসংঘের দাফতরিক তালিকায় অন্তর্ভুক্তির কাজ। এ জন্য বাংলাদেশের কাছে বছরে ৬০০ মিলিয়ন ডলার দাবি করেছে জাতিসংঘ। বিপুল পরিমাণ এ অর্থের জোগান দেওয়া বাংলাদেশের পক্ষে অসম্ভব বলে আপাতত ওই কার্যক্রমে সাড়া দিতে পারছে না বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি লাভের পর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চেষ্টা ছিল জাতিসংঘের দাফতরিক ভাষার তালিকায় বাংলাকে অন্তর্ভুক্ত করার। এ নিয়ে কূটনৈতিক তৎপরতা চালানো হয়। বিষয়টি নিয়ে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে কোনো আপত্তি নেই বলেও জানা গেছে। কিন্তু বাদ সেধেছে এ বিষয়ে সংস্থাটির প্রস্তাবনা।
এখন পর্যন্ত ৬টি ভাষাকে নিজেদের দাফতরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ। শুরুতে ৫টি ভাষা থাকলেও পরে আরবিকেও সেখানে যোগ করা হয়। বাংলাকে অন্তর্ভুক্ত করা হলে তা হবে সপ্তম ভাষা। তবে এ এক্ষেত্রে সদস্য দেশগুলোর যে খরচ হবে, তা বহন করতে হবে প্রস্তাবকারী দেশকেই। এ বাবদ প্রতি বছর ৬০০ মিলিয়ন ডলার দাবি করেছে জাতিসংঘ।
একই দাবি জানানো হয়েছে হিন্দি ও জাপানিজ ভাষাকেও দাফতরিক ভাষায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবনার ক্ষেত্রেও।
এ বিষয়ে রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) এক অনুষ্ঠান শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, বাংলা ভাষার বিষয়টি আমাদের আবেগের। এ ভাষাকে দাফতরিক ভাষা করতে জাতিসংঘের কোনো আপত্তি নেই। মূল সমস্যাটা অর্থায়ন নিয়ে। এত টাকা দেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তবে আশা করছি, কোনো একদিন আমরা ধনী দেশ হতে পারলে, নিশ্চয় বাংলা হবে জাতিসংঘের দাফতরিক ভাষা।